বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম।
জনাব মোস্তাফিজুর রহমানকে তো আপনারা কেহই চিনতেন না বা জানতেনই না। এই বিষয়টা আমি আপনাদেরকে বলেছিলাম তখন আপনারা তার বিরোধিতা করেছেন, না না তা কে নেওয়া যাবে না!
সে আমাদের কোনো রিলেটিভ নয়। সে বৃদ্ধ এক লোক বয়স ৬০-৬৫ ব বছর যার কাজের অভিজ্ঞতার তেমন নাই। মোস্তাফিজুর রহমান হচ্ছেন কুমিল্লায় বসবাসরত এক সেনা সদস্যের রংপুরে ভাড়াকৃত বাসা মালিকের ভাইয়ের শশুর।
পাশাপাশি মেহেদীর যে যোগ্যতা রয়েছে তার থেকে কি মোস্তাফিজের অভিজ্ঞতা বেশি বা শিক্ষিত বেশি? তাছাড়া অপরিচিত একজন লোককে তো আমরা বিশ্বাস করতে পারিনা। অন্যদিকে দুদিন আগে আপনারা মুস্তাফিজকে না নেওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে ফারুককে নিয়োগ দিয়েছেন। এখন ফারুক নিজ ইচ্ছায় চলে গেছে। তাহলে অপরিচিত লোক এনে টানছেন কেন?
অন্যদিকে যোগ্যতাসম্পন্ন লোককে দেওয়াই আমাদের জন্য ভালো হবে। ভবিষ্যতে বিদ্যুতায়ন,এসি,ফ্রিজ,সাব স্টেশন ও লিফট ইত্যাদি ইলেকট্রিক্যাল বিষয়গুলো অত্যন্ত জরুরী যা তার মাধ্যমে কাজ হাসিল হবে।
তাছাড়া আপনারা কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের মতামত নিয়েই মেহেদী কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে । এখন কেন আপনারা দ্বিমত পোষণ করছেন? আপনাদের কোনো সিদ্ধান্ত ল্যান্ডগ্রুপ উপকৃত হতে পারে নাই বা পারবে বলে মনে হয় না।
অন্যদিকে আপনারাতো ১৩ জনের একটা গ্রুপ ছিলেন। সেখান থেকে কি লোকজন কমতে শুরু করেছে? তাহলে কি আমরা ভেবে নেবো যে আপনাদের সাথে লোকজন থাকতেছে না, সদস্য চলে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের ডিসিশনের অকৃতকার্য তাই দায়ী?
প্রকল্পে কোন গ্রুপ নেই। গ্রুপ একটাই তা হলো ল্যান্ড গ্রুপ।৩২ জনকে নিয়েই আমরা পথ চলতে চাই। প্রকল্পের মুখপাত্রের প্রাপ্ত তথ্য মতে আপনারা যে ১২ জনের নাম দিয়েছেন তাতে অনেকেই উপস্থিত ছিল না বা মতামত নাই।
অন্যদিকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ কলিং এ সর্বোচ্চ ৮ জন ব্যক্তি সংযোগ থাকতে পারেন। তাহলে অবশ্যই ৫ জন ব্যক্তি বাইরে ছিল। এখন বলতে পারেন মোবাইলে আপনারা মতামত নিয়েছেন। কিন্তু তারপরও আমি তথ্য নিয়েছি, এমন সদস্য আছেন যাকে আপনারা বিষয়টি বলেন নাই। কিন্তু আপনার একথা বলেন নাই যে, মোস্তাফিজের যোগ্যতা এটা, মেহেদির যোগ্যতা এটা, কোনটা নিলে ভালো হবে? কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সত্বেও আপনাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন বলে মনে হচ্ছে। এখন একটা বলছেন একটু পর আরেকটা বলছেন।
পক্ষান্তরে যেহেতু ল্যান্ড গ্রুপে এ বিষয়টি আপনারা নিয়ে আসছেন আপনারা মুস্তাফিজের বায়ো ডাটা মুখপাত্রকে প্রদান করুন। তখন ৩২ জনই বুঝতে পারবে যে মুস্তাফিজ এর যোগ্যতা কি রকম, আর মেহেদির যোগ্যতা কি রকম।
কার্যনির্বাহী কমিটি একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছে তার বিরোধীতা করতেছেন এটা কাম্য নয়। আসলে এখানে সুস্থ চিন্তাধারা মনোনিবেশ করতে হবে। আশাকরি সকলেই এ বিষয়টিতে একমত পোষণ করে প্রকল্পের সর্বোচ্চ কল্যাণে কাজ করে যাবেন।
মোঃ ফরহাদ আল মামুন
মুখপাত্র ও প্রকল্প নিরীক্ষক
ল্যান্ড গ্রুপ।